নবীজীর রওজা মোবারক জিয়ারতের নিয়ম

প্রত্যেক হাজির জন্য উচিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর জিয়ারত করা। মদিনা তার পথে হোক বা না হোক। কারণ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর জিয়ারত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ নেকির কাজ। অনেক সওয়াবের কাজ। অনেক কামনার বিষয়। জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গমনের সময় রাস্তায় বেশি বেশি দরুদ পড়বে। 
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের মসজিদ যিয়ারত
হজ্জের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও পালন পদ্ধতিমদিনার এলাকা, গাছপালা ও মদিনার কোন নিদর্শন দেখলে দরুদ বাড়িয়ে দিবে। আল্লাহর কাছে দুআ করা মদিনার যেন জিয়ারতের মাধ্যমে তাকে উপকৃত করেন। দুনিয়া ও আখেরাটনি সৌভাগ্যবান করেন। এ দুআটি পড়বে-

اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَارْزُقْنِي فِي زِيَارَةِ قَبْرِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَزَقْتُهُ أَوْلِيَاءَكَ وَأَهْلَ طَاعَتِكَ ، وَاغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي يَا خَيْرَ مَسْؤُولٍ

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রহমাতিক। ওয়ারজুকনি ফি জিয়ারাতি কাবরি নাবিয়্যিকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা মা রাজাকতাহু আউলিয়াআকা ওয়া আহলা তাআতিকা, ওয়াগফিরলি ওয়ার হামনি ইয়া খাইরা মাসউলিন।

অর্থঃ আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। আপনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর জিয়ারতে আমাকে সেই প্রশান্তি দিন, যা প্রিয় ও অনুগত বান্দাদের দিয়ে থাকেন। আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন হে শ্রেষ্ঠ দাতা।

নবীজির রওজা মোবারকে সালাম


মসজিদে প্রবেশের সময় অন্য মসজিদে প্রবেশের যেসব দুআ পূর্বে বর্ণিত হয়েছে সেগুলোই পড়বে। তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ আদায়ের পর রওজা শরিফের কাছে আসবে। রওজা শরিফের দেয়াল থেকে চার হাত পেছনে রওজা শরিফকে সামনে রেখে কেবলাকে পেছনে রেখে দাঁড়াবে। পরিমিত আওয়াজে সালাম দিবে; উঁচু আওয়াজে নয়। বলবে-

السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خِيَرَةَ اللهِ مِنْ خَلْقِهِ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حَبِيبَ اللهِ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا سَيِّدَ الْمُرْسَلِينَ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ السَّلَامُ عَلَيكَ وَعَلَى آلِكَ وَأَصْحَابِكَ وَأَهْلِ بَيْتِكَ وَعَلَى النَّبِيِّينَ وَسَائِرِ الصَّالِحِينَ : أَشْهَدُ أَنَّكَ بِلَغْتَ الرِّسَالَةَ، وَأَدَيْتَ الْأَمَانَةَ وَنَصَحْتَ الْأُمَّةَ ، فَجَزَاكَ اللهُ عَنَّا أَفضَلَ مَا جَزَى رَسُولاً عَنْ أُمَّتِهِ

উচ্চারনঃ আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহি, আসসালামু আলাইকা ইয়া খিয়ারাতাল্লাহি মিন খালকিহ। আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহি, আসসালামু আলাইকা ইয়া সাইয়িদাল মুরসালিনা ওয়া খাতামান্নাবিয়্যিন | আসসালামু আলাইকা ওয়া আলা আলিকা ওয়া আসহাবিকা ওয়া আহলি বাইতিকা ওয়া আলান্নাবিয়্যিনা ওয়া সায়িরিস সালিহিন। আশহাদু আন্নাকা বাল্লাগতার রিসালাতা, ওয়া আদ্দাইতাল আমান্য আওয়া নাসাহতাল উম্মাহ। ফা জাযাকাল্লাহু আন্না আফদালা মা জাযা রাসুলান আন উম্মাতিহ।

অর্থঃ শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে আল্লাহর রাসুল। শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে আল্লাহর প্রিয়। শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে রাসুলদের সরদার ও শেষ নবি। শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর, আপনার সাথী ও সাহাবায়ে কেরামের ওপর, পরিবার ওপর, সমস্ত নবিদের ওপর এবং সকল নেক বান্দাদের ওপর। 

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি এজ আপনি রিসালতের দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করেছেন, ওহির আমানত পৌঁছিয়েছেন। এবং উম্মতকে সদুপদেশ দিয়েছেন। একজন রাসুলকে তার উম্মাহর তরফে যেভা প্রতিদান দিয়ে থাকেন, আল্লাহ আপনাকে এরচেয়ে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

যদি কেউ তাকে সালাম পাঠানোর ওসিয়ত করে থাকে তাহলে এভাবে বলতে

السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ مِنْ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ 

উচ্চারনঃ আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহি মিন ফুলানিবনি ফুলান।

অর্থঃ শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে আল্লাহর রাসুল, অমুকের সন্তান অমুকো পক্ষ থেকে। এরপর এক গজ পরিমাণ ডানদিকে গিয়ে হযরত আবু বকর রা. কে সালাম দিবে। এরপর আরেক গজ পরিমাণ পিছিয়ে হযরত উমর রা. কে সালাম দিবে। অতঃপর প্রথম স্থানে চলে আসবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে তাঁকে নিজের জন্য ওসিলা বানাবে। 

তাকে সুপারিশকারী বানাবে রবের কাছে। দুআ করবে নিজের জন্য, পিতা-মতার জন্য, সাথি-সঙ্গী ও বন্ধু- বান্ধবের জন্য। শুভাকাঙ্ক্ষী ও সকল মুসলমানের জন্য। খুব জোড়ালোভাবে দুআ করবে। এই মহান স্থানকে গনিমত মনে করবে। আল্লাহর প্রশংসা করবে, তাসবিহ পড়বে, তাকবির বলবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পড়বে। এরপর রওজা শরিফ ও মসজিনে মিম্বারের মাঝখানে এসে বেশি পরিমাণ দুআ করবে।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আমার কবর ও মিম্বরের মাঝখানের অংশ জান্নাতের উদ্যানসমূহের একটি উদ্যান।' মদিনা থেকে বের হওয়ার সময় ও সফর থেকে ফিরে যাওয়ার সময় দুই রাকাত সালাতুল বিদা পড়া মুস্তাহাব। এরপর যা ইচ্ছা দুআ করবে। এরপর কবরের কাছে আসবে। পূর্বের ন্যায় সালাম করবে। আগের দুআগুলো পড়বে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে এই বলে বিদায় নিবে,

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা লা তাযআল হাযা আখিরাল আহদি বিহারামি রাসুলিকা, ওয়া ইয়াসসির কাল আওদা ইলাল হারামাইনি সাবিলান সাহলাতান বি মাগ্নিকা ওয়া ফাদলিকা। আরজুকনিল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ। ওয়া রুদ্দানা সালিমিনা গানিমিনা ইলা আওতায়িনা আমিনিন।

অর্থঃ এই সফরকে আপনার রাসুলের হারামের জন্য শেষ সফর বানাবেন না। আমার মান্য হারামাইনে বারবার আসার পথ সহজ করে দিন। আপনার দয়া ও অনুগ্রহে একেবারে সহজ পথ। আমাকে উভয় জাহানে ক্ষমা ও সুরক্ষা দান করুন। তামাদেরকে ঘরে ফেরান সুস্থতা ও কৃতকার্যতার সাথে এবং নিরাপদে।

হযরত উতাবি রহ. বলেন, আমি নবিজির কবরের পাশে বসা ছিলাম। ইতোমধ্যে একজন গ্রাম্য লোক এসে বলল- আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ (শান্তি বর্ষিত হোক আপনার ওপর হে আল্লাহর রাসুল)। 

আল্লাহ তাআলা বলেছেন- "যদি তোমরা নিজের ওপর জুলুম করে থাক আর নবিজির কাছে এসে একবার তোমরা নিজেরা আল্লাহর কাছে মাফ চাও, এবং রাসুলও তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে অবশ্যই তোমরা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও দয়ালু হিসাবেই পাবেন। এজন্য আমি আমার পাপের ক্ষমা চাওয়ার জন্য, রবের কাছে আপনার মাধ্যমে শাফাআত লাভের আশায় এসেছি।

নবীজির রওজা মোবারক কোথায়


সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারা শহরের মসজিদে নববিতে প্রিয়নবী (সা.)-এর রওজা মোবারক অবস্থিত। সবুজ গম্বুজের ছায়াতলে অবস্থিত তার রওজার চতুর্দিকে সুরক্ষিতভাবে বেষ্টনী দেয়া। কোনো জিয়ারতকারীর সরাসরি তা দেখার সুযোগ নেই। রাসুল (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মুসলমান ছুটে আসেন। আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.)-কে সালাম জানাতে বুকভরা ভালোবাসা ও আবেগ-উচ্ছ্বাস নিয়ে তারা উপস্থিত তার রওজার কাছে।

নবীজির রওজা মোবারকের ভিতরের অংশ


রাসুল (সা.)-এর রওজার বর্তমান অবস্থা কেমন ও কীভাবে তা সাধারণ জিয়ারতকারীদের থেকে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। রাসুল (সা.) ও তার দুই প্রিয় খলিফা আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর রওজা ধারাবাহিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত। তাদের রওজার কামরাটিতে প্রাবেশ পথে স্থায়ীভাবে সোনালি গ্রিলের বেষ্টনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। 

ফলে রাসুল (সা.)-এর রওজার কামরায় প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। রাসুল (সা.)-এর রওজার কামরাটি চারদিক থেকে বেষ্টনী দিয়ে আবদ্ধ থাকায় রাসুল (সা.)-এর রওজা ও তার দুই সঙ্গীর কবর বাইরে থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে সবুজ রঙ্গের বেষ্টনীগুলো এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে কেউ খেয়াল করলে ভেতরে দেখতে পারে। 

পাশাপাশি কামরাটির প্রবেশপথের গ্রিলে তিনটি ছিদ্র পথ রয়েছে, যা দিয়ে রাসুল (সা.)-এর রওজা ও তার দুই সঙ্গীর কবর সরাসরি দেখা যায়। প্রথম বড় ছিদ্রপথ দিয়ে রাসুল (সা.)-এর রওজা। মাঝের ছিদ্রপথ দিয়ে আবু বকর (রা.)-এর ও শেষ ছিদ্রপথ দিয়ে উমর (রা.)-এর কবর দেখা যায়।

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের মসজিদ যিয়ারতের বিবরণ


মসজিদে নব্বীর যিয়ারত এবং তাতে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে যেকোন সময় আপনার জন্য মদীনায় যাত্রা করা সুন্নাত। কারণ, মসজিদে নব্বীতে এক ওয়াক্ত নামায আদায় করা, মসজিদে হারাম ছাড়া অন্য যে কোন মসজিদে হাজার ওয়াক্ত নামায আদায় করা অপেক্ষা শ্রেয়। মসজিদে নব্বীর যিয়ারতের জন্য ইহরাম বাঁধা বা তালবিয়া পড়ার কোন প্রয়োজন নেই। মসজিদে নব্বীর যিয়ারতের সঙ্গে হজ্জের কোন রকম সম্পর্ক নেই।

নবীজীর রওজা মোবারক জিয়ারতের নিয়ম


মসজিদে নব্বীতে প্রবেশের সময় প্রথম ডান পা রাখবেন এবং বিসমিল্লাহ বলে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করবেন। আর আল্লাহর নিকট এ প্রার্থনা করবেন যে, তিনি যেন তাঁর রহমতের দ্বারসমূহ আপনার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বেনঃ

অর্থাৎ বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা হতে মহান আল্লাহ্, তাঁর সম্মানিত সত্তা ও প্রাচীন বাদশাহীর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্। তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দাও। এ দোয়া যে কোন মসজিদে প্রবেশের সময়ও পাঠ করা যায়।

মসজিদে প্রবেশ করেই তাহিয়‍্যাতুল মসজিদের দু'রাকাত নামায পড়বেন। তবে যদি রাওদাতে (মিম্বর ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের গৃহের মধ্যবর্তী স্থানে) পড়া সম্ভব হয় সেটা উত্তম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কবরের কাছে যাবেন এবং কবরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে নীচুস্বরে আদাবের সাথে বলবেনঃ

অর্থাৎ হে নবী! আপনার উপর শাস্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

তারপর দরূদ পাঠ করে নীচের দোয়াটি বলতে পারেনঃ

অর্থাৎ হে আল্লাহ। তাকে অসীলা ও মর্যাদা দান কর। তাকে যে প্রশংসনীয় মাকাম দান করার ওয়াদা করেছ তা প্রদান কর। হে আল্লাহ্। তাকে তার উম্মতের তরফ থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান দাও।

তারপর ডানদিকে কিছুটা সরে গিয়ে আবু বকর (রাঃ) এর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে সালাম জানাবেন এবং তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করবেন। তারপর আরো কিছুটা ডানে সরে উমার (রাঃ) এর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে সালাম করবেন। আর তার জন্যও আল্লাহর সন্তুষ্টি, মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করবেন। পবিত্রতা অর্জন করতঃ মসজিদে কোবা যিয়ারত করে সেখানে সামায পড়া আপনার জন্য সুন্নাত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নিজে তা করেছেন এবং অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করেছেন।

রওজা মোবারক জিয়ারতের ফজিলত


আপনার জন্য সুন্নাত হলো বাকী' কবরস্থান যিয়ারত করা, যেখানে ওসমান (রাঃ) এর কবর রয়েছে এবং অহুদের শহীদানদের কবরসমূহ যিয়ারত করা, যাদের মধ্যে হামযা (রাঃ) এর কবর রয়েছে। আপনি তাদেরকে সালাম দেবেন এবং তাদের জন্য দোয়া করবেন। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ঐ সমস্ত কবর যিয়ারত করতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন। কবর যিয়ারতের সময় বলার জন্য তিনি সাহাবাদেরকে নিম্নোক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন

অর্থাৎ হে কবরবাসী মুমিন মুসলমান। তোমাদের প্রতি সালাম। আমরাও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। আমরা আল্লাহর দরবারে আমাদের ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা চাই। (মুসলিম)

উপরোল্লিখিত স্থানগুলো ছাড়া মদীনার আর কোন মসজিদ বা অন্য কোন জায়গা যিয়ারত করা শরীয়ত সম্মত নয়। অতএব বিনা কারণে নিজেকে কষ্ট দেয়া ও নিজের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে নেয়া যাতে কোনই সাওয়াব নেই, বরং উল্টো পাপের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন কাজ করা কারো উচিত নয়। আল্লাহ্ তা'লা আমাদের সবাইকে এগুলো মেনে চলার তাওফীক দান করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url