মার্কেট প্লেস ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায় - ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক
মার্কেট প্লেস ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি প্রেজেন্টেশন স্লাইড আপলোড এবং কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। এছাড়া আরও আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক এর সম্বন্ধে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
মার্কেট প্লেস ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায়
আমাদের দেশে আপওয়ার্ক (আগে নাম- ওডেস্ক) নিয়ে এত বেশি মাতামাতি হয়েছে যে সবার মধ্যে ধারণা ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্কে কাজ করতে হবে। আমিসহ অনেকে যখন বলি, আমি ফ্রিল্যান্সিং করি, তখন অনেকেই জানতে চায়, আপওয়ার্কে কত ঘণ্টা কাজ করেছি। যদি বলি আপওয়ার্কে আমার কোনো প্রোফাইল নেই, তখন সবাই অবাক হয়। প্রচলিত এই ভুল ধারণাটি (ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক) নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক
আমরা বাংলাদেশের কোনো চাকরি খুঁজে পেতে সাধারণত বিডিজবস ব্যবহার করি। কিন্তু তাই বলে কি কারও কাছে মনে হয়, বাংলাদেশের সব চাকরির সংবাদ বিডিজবসেই থাকে? অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের লোক নেওয়ার জন্য কখনোই বিডিজবসে কোনো নিউজ প্রকাশ করেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশের সব চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য বিডিজবসই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম নয়।
আরো পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অতএব, সারা বিশ্বের কাজের খোঁজখবর পাওয়ার জন্য কীভাবে আপওয়ার্ক একমাত্র জায়গা হতে পারে?
প্রশ্নটি নিজেই নিজেকে করুন। তার মানে এ কথা স্পষ্ট যে ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক নয়। আপওয়ার্কের কথা বাদই দিলাম, বাস্তবতার দিকে তাকালে দেখা যায় অনলাইনে সারা বিশ্ব থেকে যত পরিমাণ কাজ পাওয়া যায় তার মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ মার্কেট প্লেসগুলোতে পাওয়া যায়। তাহলে বাকি কাজগুলো কোথায় পাওয়া যায়? এ অধ্যায়টিতে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হবে।
সঠিক ধারণার অভাব ও সংকীর্ণতা
আমাদের দেশের শুধু নতুনদের নয়, যারা অনেক দিন ধরে কাজ করছেন অথবা শেখাচ্ছেন, তাদের মধ্যেও সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে। অনেকেই জানেন না যে আপওয়ার্ক ছাড়া অনলাইনে অন্য কোনোভাবে আয় করা যায়। এর ফলে সবার মাঝে ধারণাটি ছড়িয়ে গেছে, অনলাইনে আয় মানেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্টস থাকতে হবে। বিষয়টা এমন যে অনেকেই জানেন না উইন্ডোজ একটি অপারেটিং সিস্টেম। এ রকম আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম শব্দটি বললে চিনবেন না কেউ। উইন্ডোজ বললেই চেনেন সবাই।
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে শুধু আপওয়ার্ক চেনার ক্ষতি
১. যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে কাজ শিখে আপওয়ার্ক থেকে আয়ের চেষ্টা শুরু করেন, তারা সেখানে কোনো কাজ না পেয়ে হতাশ হন কিংবা আউটসোর্সিং সম্পর্কে তাদের মনে ভুল ধারণার জন্ম নেয়।
২. কাজ না পাওয়ার জন্য অনেক কম রেটে বিড করতে শুরু করেন। কাজের রেট কমালে সবার জন্য ক্ষতির কারণ হয়, যে ক্ষতির সম্মুখীন ইতিমধ্যে সবাই হচ্ছেন।
৩. কাজ পেতে স্পামিং করছেন, ডুপ্লিকেট কভার লেটার ব্যবহার করছেন। কাজ না বুঝেই বিড করছেন। আর সেটার খারাপ ফল ভোগ করছেন অন্য দক্ষ বাঙালিরা। বাঙালিদের দিয়ে কাজ করানোর আগ্রহ কমে যাচ্ছে ক্লায়েন্টদের। সত্যিকারের যারা কাজ পারেন, তাদেরও এখন সঠিকভাবে ক্লায়েন্টরা চিনতে পারছেন না।
৪. আপওয়ার্ককে কাজ পাওয়ার কথা বলে এখন আলাদা নতুন নতুন প্রতারণার ব্যবসাও তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে অনেকে প্রতারিত হয়ে নিজের অনেক অর্থ নষ্ট করেছেন এবং তাদের মনেও অনলাইনে আয় নিয়ে বাজে একটি ধারণা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫. শুধু আপওয়ার্ককেই অনলাইনে আয় মনে করার কারণে যোগ্যতা তৈরির আগেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে বিড করা শুরু করছেন। সে কারণে আপওয়ার্কে দক্ষ বাংলাদেশির চেয়ে অদক্ষের সংখ্যা
অনেক বেশি বেড়ে গেছে; যা বাংলাদেশিদের দক্ষতার ব্যাপারে অন্য দেশের ক্লায়েন্টদের নেগেটিভ মেসেজ দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হবে। যদিও ইতিমধ্যেই সেই ক্ষতিটা সবাই অল্পস্বল্প ভোগ করা শুরু করেছেন।
বিড করা ছাড়াই কাজ পাওয়া
দুটি বিখ্যাত মার্কেট প্লেস আছে, যেখানে কাজের জন্য বিড করতে হবে না। এসব মার্কেট প্লেসে শুধু লিখে রাখতে হয়, কী কাজ করতে চান। বায়ারই খুঁজে বের করে কাজ দেবেন। এ রকম দুটি মার্কেট প্লেসের নাম হচ্ছে-
- ১. www.peopleperhour.com
- ২. www.fiverr.com
এসব মার্কেট প্লেসে শুধু গিগ হিসেবে নিজের সার্ভিস লিখে রাখতে হয়। অর্থাৎ লিখে রাখবেন, আমি একটি লোগো ডিজাইন করতে চাই, যার জন্য দাম রাখব ৫০ ডলার। যারা এ রেটে কাজ করতে চান, তারাই খুঁজে বের করবেন আপনাকে। প্রয়োজন নেই, সারা দিন মার্কেটে প্লেসে বসে থেকে বায়ার নতুন কোনো কাজের জন্য লোক খুঁজছেন কি না, সেদিকে নজর রাখা এবং তারপর ওই কাজে গিয়ে বিড করা। এ কষ্টটা এসব মার্কেট প্লেসে বায়াররা নিজেরাই করেন।
কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট
আমাদের মনে রাখত হবে, আমরা সাধারণ জনগণ যেমন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো নিয়মিত ব্যবহার করি, তেমনি দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা বড় বড় ব্যক্তিত্বরা কিংবা বড় বড় কোম্পানির মালিকরাও নিয়মিত এসব সাইটে প্রবেশ করেন। এ জন্য এসব জায়গা থেকেও প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বিশেষ করে লিংকডইন (linkdin) থেকে কাজ পাওয়া যায় অনেক বেশি।
আরো পড়ুনঃ প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া
বিশ্বের বেশির ভাগ বায়ারই মার্কেট প্লেসে গিয়ে তার কাজের জন্য নতুন কাউকে খুঁজে বের করাটাকে বিরক্তিকর কাজ মনে করেন (যে কাজ খোঁজেন তার জন্য মার্কেট প্লেসে কাজ খোঁজাটাকে বিরক্তিকর মনে করেন)। স্থানীয় যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে যেমন সবার প্রথম নিজের পরিচিতদের মধ্যে যোগ্য কেউ থাকলে তাকেই সবাই নিতে চান।
কারণ পরিচিত একজনের ব্যাপারে রিস্ক অবশ্যই কম থাকে। অনলাইনের এ যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যে কারও সাথেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে আর পরিচিত হওয়ার সে সুযোগটি করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো। এসব সাইটে নিজেকে প্রফেশনাললি, নিজেকে কাজের দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া কাজ খোঁজার জন্য অনেক শক্তিশালী একটি মাধ্যম। ফেসবুক, লিংকডইন মার্কেট প্লেস থেকেই পেতে পারেন প্রচুর কাজ। তা ছাড়া গ্রাফিকসের জন্য কাজ পেতে চাইলে বিহেন্স (www.behance.net) ও ড্রিবল (www.dribbble.com)- এই দুটি মার্কেট প্লেসে যুক্ত থাকতে পারেন। আমার পরিচিত অনেক ডিজাইনার এখান থেকেই কাজ পাচ্ছে।
ব্লগিং
ব্লগিং কাজ খোঁজার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় নিজের কাজের দক্ষতা প্রমাণ করা সম্ভব। যে বিষয়ের ওপর কাজ পেতে চাচ্ছেন, সেই বিষয়ের ওপর নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রকাশ করতে কিংবা নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য ব্লগিং অনেক বেশি কার্যকর। আপনি যখন নিজেকে দক্ষ হিসেবে সবার কাছে ব্র্যান্ড করতে পারবেন, তখন কাজ খুঁজতে হবে না।
বায়ার নিজে এসে আপনাকে কাজ করার জন্য অফার করবেন এবং সেটি হবে অবশ্যই যেকোনো মার্কেট প্লেসের চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ রেটে। বিখ্যাত ব্লগিং সাইটগুলোতে গেস্ট হিসেবে ব্লগিং করে কিংবা নিজের পার্সোনাল ব্লগ তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন, যার লক্ষ্য থাকবে আপনার দক্ষতাকে ব্র্যান্ডিং করা। যত সময় ব্যয় করবেন মার্কেট প্লেসে কাজের জন্য বিড করে কিংবা কাজ খুঁজে, ব্লগিংয়ের জন্য তার চেয়ে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু আপনার একেকটি ব্লগপোস্ট আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহুদিন।
ফোরাম পোস্টিং
অনেকে ভাবছেন লেখালেখি আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না। সুতরাং ব্লগিং করে কাজ জোগাড়ের বুদ্ধিটি আপনার কাজে লাগবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করব, সেটিও আমার দ্বারা হবে না মনে করছেন, তারা ফোরাম পোস্টিং করে নিজের দক্ষতা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন। ব্লগিংয়ে লেখার জন্য টপিকস খুঁজতে হলেও ফোরামে সেই ঝামেলায় পড়তে হবে না।
কারণ এখানে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তরগুলো ভালোভাবে আকর্ষণ করার মতো করে দিলেই হবে। এ রকম নিয়মিত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর উত্তর দিতে থাকলে সেই বিষয়ের ওপর আপনার দক্ষতা সবার কাছেই প্রকাশিত হয় অর্থাৎ সেই দক্ষতা বিষয়ে নিজের ব্র্যান্ডিংটা হয়ে যায়, নিজের ব্র্যান্ডিং হলে কী সুবিধা হবে, সেটি এর আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
ই-মেইল মার্কেটিং
ই-মেইল মার্কেটিং-সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজে বের করে তাদের অফার জানিয়ে নিয়মিত মেইল করুন। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এভাবে অনেক কাজ পাওয়া যায়। বড় আকারে কাজ পেতে চাইলে এ পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর। ভবিষ্যতে বড় আইটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা অনেকেরই ইচ্ছা থাকে। যারা এ রকম চান, তাদের জন্য এ পদ্ধতিটি বেশি কার্যকর। তবে আগে একটি প্রফেশনাল পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে নিলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে এসইও করা
নিজের একটি পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চের ফলাফলের প্রথমে নিয়ে আসতে পারলে সেখান থেকে কাজ পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটকে প্রথম সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হয়। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে বেশির ভাগ কাজ পাওয়া নির্ভর করে র্যাঙ্কিং এবং এর পাশাপাশি ট্রাফিক এনগেজমেন্টর ওপর। আর এভাবে কাজ জোগাড় করতে পারলে সারা জীবনই কাজ পেতে থাকবেন।
ভিডিও মার্কেটিং
ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও চ্যানেল খুলে সেখানে যে-সম্পর্কিত কাজ করতে আগ্রহী, সে-সম্পর্কিত নিজের তৈরি ভিডিও তৈরি করে নিয়মিত আপলোড করুন। এমন ভিডিও তৈরি করতে হবে, যাতে সেটা দেখে অন্যদের ভেতর সেই কাজের ব্যাপারে আপনাকে অভিজ্ঞ মনে হয়। এর ফলে আপনার ব্যাপারে তাদের ধারণাটা পাকাপোক্ত হবে। এ ভিডিওকে ইউটিউবের সার্চের প্রথমে নিয়ে আসার কাজটিও করতে হবে। না হলে ভিডিওটি বেশি মানুষের নজরে আসবে না। বেশি মানুষ আপনার ভিডিও না দেখলে উদ্দেশ্য সফল হবে না অর্থাৎ কাজ পাবেন না।
ব্লগ কমেন্টিং
ভালো কিছু ব্লগ রয়েছে, যেগুলোতে মানুষ ভালো কিছু শেখার জন্য যায়। সারা বিশ্বের অনেক মানুষ নিয়মিত এসব সাইটে ভিজিট করে। আপনি যদি এসব সাইটে ব্লগ লিখতে পারেন, তাহলে টার্গেটেড লোকদের কাছে খুব সহজে নিজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু ধরে নিলাম লেখালেখির অভ্যাস নেই। কোনোভাবেই লিখতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি
তাহলে কী উপায়? এসব ব্লগে প্রকাশিত পোস্টগুলোতে সবার নজরে আসার মতো করে কমেন্ট করুন নিয়মিত। এসব কমেন্টের মাধ্যমেও আপনার নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ আছে। সাধারণত দেখা যায়, চার-পাঁচটা ভালো কমেন্টের পর সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির পরিচয় কিংবা যোগাযোগ করার মাধ্যম অন্যরা খোঁজার চেষ্টা করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির সাথে যুক্ত হয় এবং নজরে পড়ার মতো ৮-১০টা কমেন্ট করতে পারলে কাজ পাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়।
প্রেজেন্টেশন স্লাইড আপলোড
স্লাইডশেয়ার (www.slideshare.net) নামে একটি সাইট রয়েছে, যেখানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আপলোড করা হয়। এ সাইটের লিংকগুলো গুগলে খুব সহজে র্যাংক পায়। গুগলের কাছে যেমন জনপ্রিয় এ সাইটটি। তেমনি অনেক মানুষের কাছেও জনপ্রিয়। আর সে জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ এ সাইটে এসে নিয়মিত তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়গুলো খোঁজে।
সে জন্য এখানে নিজের একটি পরিকল্পনা ঠিক করেন। প্রতি মাসে কমপক্ষে দুটি প্রেজেন্টেশন এ সাইটটিতে পোস্ট করবেন। এ প্রেজেন্টেশনটির কন্টেন্ট হবে অবশ্যই অন্যদের জন্য উপকারী। তবে প্লেজেন্টেশনটির শেষ স্লাইডে আপনি কাজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এভাবেও অনেককে আমি কাজ পেতে দেখেছি।
একটি এক্সক্লুসিভ টিপস
'একজন লোগো ডিজাইনার লাগবে। কেউ থাকলে আওয়াজ দিন।' ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের মধ্য থেকে অনেকেই এ রকম-টাইপের পোস্ট দিয়ে থাকেন। তখন আমরা কাজ জানা থাকলে সেখানে গিয়ে হয়তো অনুরোধ করি কাজটি পাওয়ার জন্য। ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে হয়তো মাঝেমধ্যে ২-১ দিন এ রকম দেখি। এবার এমন একটি টিপস দেব, যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যত মানুষ এ রকম কাজ করার অভিজ্ঞ লোক চেয়ে তাদের নিজেদেরপ্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা একবারে খুঁজে বের করতে পারবেন। অবশ্য এটি এখনো ফেসবুকে করা সম্ভব না।
আরো পড়ুনঃ প্যাসিভ আয়ের কৌশলগুলি
কাজটি করার জন্য টুইটারে যেতে হবে। টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করে লিংকটিতে (www.twitter.com/search-advanced) প্রবেশ করুন। সার্চ অপশনটি কাজে লাগিয়ে খুঁজে বের করুন, কারা কাজ করানোর জন্য লোক খুঁজছে। সেই সব লোকের পোস্টে গিয়ে কমেন্টে আপনার অফারটি দিয়ে আসুন।
আপনার দেওয়া অফারটি যদি তাদের পছন্দ হয় তাহলে কাজ পেয়েও যেতে পারেন। যেকোনো মাধ্যমেই কাজ খুঁজতে যান, নিজের কাজের বিষয়ে একটি পোর্টফলিও অবশ্যই তৈরি করে নিতে ভুলবেন না। কারণ এ পোর্টফলিওতে থাকা কাজগুলো দেখেই বায়ার কাজ দিতে আগ্রহী হবেন। বায়ারের সাথে কাজের ব্যাপারে কথা বলার শুরুতে আগের করা কাজ অবশ্যই দেখতে চাইবেন।
আশা করি মার্কেট প্লেস ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক এ সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম মত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।