Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব

Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব এ সমন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি এসইও টুলস এর ব্যবহার এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কি এছাড়া আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক কে সমন্ধে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

এসইও কি (SEO)


এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করার মাধ্যমে এবং কিছু বিষয় পরিলক্ষিত করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন সঠিক ওয়েবসাইটটিকে ভ্যালুয়েবল মনে করে এবং সেটিকে তালিকার শীর্ষে নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন কিছু বিষয় জানার জন্য হোক বা কেনার জন্য Google এ সার্চ দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর তালিকা চলে আসে, এর মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও কি


ধরুন আমার বাসায় পাঁচটা রুম রয়েছে। আমি পাঁচজনকে আমার বাসায় আসতে বললাম। যে আগে আসবে সে প্রথম রুমে যাবে এবং যে পরে আসবে সে তারপরের রুমে যাবে। এভাবে যে সবার শেষে আসবে সে সবার শেষের রুমে যাবে। ঠিক আছে? এখন ধরুন আমি বললাম যে, আমি এই পাঁচজনকে পাঁচটা গিফট দেবো এখন আবার প্রশ্ন করবেন না যেন, কি গিফট দেবো? এটা মুখ্য নয়। 

যাই হোক। আমি পাঁচজনকে পাঁচটা গিফট দেবো। প্রথম রুমে যে আছে সে সবার বড় গিফটটা পাবে আর যে সবার শেষের রুমে আছে সে সবচেয়ে ছোট গিফটটা পাবে। আপনি কোনটা চাইবেন? নিশ্চয়ই বড় গিফটটা তাই না? এখন আমি যদি বলি, সার্চ ইঞ্জিনগুলো (গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি) উপরের এই ঘটনাটাই ঘটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, তাহলে কি আমাকে বিশ্বাস করবেন? কখনোই না। 
কারণ, আপনি আদৌ কোনো গিফট পাচ্ছেন না গুগলের থেকে তাই না? হ্যাঁ! আপনি কোনো গিফট পাচ্ছেন না কারণ আপনি একজন ভিজিটর বা অডিয়েন্স বা কাস্টমার। আপনার কাজ হচ্ছে, শুধু দেখে যাওয়া আর সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করে যাওয়া। কিন্তু যার ওয়েবসাইট রয়েছে বা যার ব্লগ রয়েছে, যার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে সে কিন্তু ঠিকই গিফট পাচ্ছে! কীভাবে? 

চলুন তাহলে উপরের ঘটনার সাথে পুরো বিষয়টাকে মিলিয়ে দেখা যাক। আমার বাসাটাকে সার্চ ইঞ্জিন ধরুন। এবার আমি পাঁচজনকে বলেছিলাম বাসায় আসতে। এরা হচ্ছে ওয়েবসাইটধারী পাঁচটা ব্যক্তি যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ব্লগ অথবা একটা অনলাইন শপ রয়েছে। বুঝতে পারছেন কি? না বুঝতে পারলে প্রশ্ন করুন। প্রশ্ন করেছেন? 

আমি শুনতে পাচ্ছি না! ওহ আচ্ছা। এটা তো বই! দুঃখিত। আমার বাসায় যে প্রথমে এসেছে সে প্রথম রুমে গিয়েছে, যে শেষে এসেছে সে শেষ রুমে, তাই না? কিন্তু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন যে, আমার বাসায় প্রথম রুমে কিংবা দ্বিতীয় রুমে কিংবা শেষ রুমে যাওয়ার আগে তাদেরকে কিন্তু প্রথমে আমার বাসায় এসে প্রবেশ করতে হয়েছে। 

বাসায় না প্রবেশ করে তারা কি রুমে আসতে পারবে? পারবে না তো? সার্চ ইঞ্জিন এই কাজটাই করছে। একেকটা ওয়েবসাইটকে তাদের বাসায় অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে ঢুকতে দিচ্ছে। আর তারপরে তাদের গুণ দেখে, কাজ দেখে তাদেরকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানে রাখছে। যেভাবে আমি আমার বাসায় সেই পাঁচজনকে পাঁচটা রুমে রেখেছিলাম। এক্ষেত্রে তাদের গুণ বা কাজ ছিলো 'যে সবার আগে আসবে।' এখন গিফটের কথায় আসি। তার আগে আমাকে একটা কথা বলুন। যদিও বললেও আমি শুনবো না।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কি


আপনি যখন গুগলে যান, গিয়ে কিছু একটা লিখে সার্চ করেন তখন সেখানে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত বিভিন্ন লিংক দেখতে পাবেন। যেগুলোতে ক্লিক করে সেই সাইটগুলোতে প্রবেশ করেন তাই না? এখন মনে করুন আপনার ভাইয়ের একটা গান ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট রয়েছে। সে আপনাকে বললো, "নেক্সট টাইম আমার সাইট থেকেই গান ডাউনলোড করবি।" 

আপনিও আজকে গান ডাউনলোড করতে তার ওয়েবসাইটের নাম লিখে গুগলে সার্চ করলেন। প্রথম পেইজে তার সাইটের লিংকটা দেখতে পেলেন না, গেলেন দ্বিতীয় পেইজে। সেখানেও পেলেন না। এভাবে শেষমেষ গিয়ে পেলেন সপ্তম পেইজে। তারপর ঢুকে গান ডাউনলোড করতে শুরু করলেন। এখন আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো। 

আপনি তো তার কাছের মানুষ। আপনি নাহয় তার সাইটকে খুঁজে খুঁজে এত দূরে গিয়েও তার সাইটে ঢুকেই গান ডাউনলোড দিচ্ছেন। কিন্তু যদি আপনার জায়গায় আরো ১০০টা মানুষ হতো, তাহলে তারা কি এই একই কাজটাই করতো? আপনাকে উত্তর দিতে হবে না, আমিই উত্তর দিচ্ছি- কখনোই নয়।
কেউই এত কষ্ট করতে চায় না। 
সবাই চায় গুগলের প্রথম দুটো কিংবা তিনটি পেইজের মধ্যে চলে আসতে। যাতে করে মানুষ সহজেই সেই সাইটটাকে খুঁজে পায়। তাই না? এখন এক্ষেত্রে গুগলের প্রথম পেইজে আসার জন্য আপনার ভাই কি করতে পারে? সে এসইও করতে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব

Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব


এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। অর্থাৎ সহজ কাঁচা বাংলায়, সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে আপনার সাইটটাকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে আসা। এখন আপনার ভাই সাইট বানানোর সাথে সাথেই কি সেটা সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেইজে চলে আসবে? উঁহু! আসবে না। সেজন্য তাকে শুরুতে অন পেইজ এসইও করতে হবে। অন পেইজ এসইও হচ্ছে, এসইওয়ের একটি প্রকারভেদ। 

এই অন পেইজ এসইও দ্বারা মূলত একটা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে তুলে দেওয়া হয়। অন পেইজ এসইও করার মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের বাসার দরজা নক করে বলেন, "আমার আমি সাইট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছে। আর মুখ ফিরিয়ে থেকো না। অন্তত এখন আমায় ঘরে ঢুকতে দাও।" সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন আপনার ভাইয়ের এই ওয়েবসাইট তৈরি করার পর, সে যদি অন পেইজ এসইও করে তাহলে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে খবর চলে যাবে যে, আপনার ভাইয়ের এই নামে একটা সাইট এসেছে। 

তখন গুগল সেটাকে টেনে ধরে তার সাইটের ভান্ডারে নিয়ে জমা করবে। ঠিক যেভাবে আমার বাসার সেই পাঁচজন মানুষের মতো। যারা বাসায় এসে শুরুতে রুমে যাওয়ার পূর্বে, আমার বাসার কলিংবেল বাজিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা বাসায় চলে এসেছে। আর আমিও তাদেরকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দিয়েছি। এখন তো আপনার ভাইয়ের ওয়েবসাইটকে গুগল চেনে। 

তাই না? গুগল এখন কি করবে জানেন? আপনার ভাইয়ের সাইটটাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবে যে এটাকে কত নাম্বার পেইজে রাখা যায়। আপনার ভাইয়ের সেই সাইটের গুণাবলী, কাজ, সাইটের অবস্থাসহ বিভিন্ন কিছু পরীক্ষা করে তারপরে ঠিক করলো যে, সপ্তম পেইজ এই সাইটের জন্য সঠিক অবস্থান। এখন আপনার ভাইয়ের ঘটনায় যাওয়া যাক। 

আপনি গান ডাউনলোড দিলেন। আপনার ভাইকে দুপুরের খাওয়ার টেবিলে জানালেন যে, আপনি তার সাইট থেকেই গান ডাউনলোড দিয়েছেন। এটা শুনে সে খুশি হলো। কিন্তু পরক্ষণেই তাকে জানালেন যে, আপনাকে তার সাইট খুঁজে পেতে সপ্তম পেইজ পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তখনই সে চিন্তায় পড়ে গেলো। তার মাথাতেও একই প্রশ্ন আসলো। 
আর সেটা হচ্ছে, একটা মানুষ কি তার সাইট খুঁজতে এত দূর অবধি যাবে? যাবে না। তাহলে এখন উপায়? আর তখনই তার মাথায় আসলো অফ পেইজ এসইওয়ের কথা। অফ পেইজ এসইও হচ্ছে অন পেইজ এসইওয়ের আরেক ভাই এবং এসইওয়ের সন্তান। অফ পেইজ এসইও করার পর আপনার ভাইয়ের সাইট কিছুদিনের মধ্যেই গুগলের তৃতীয় পেইজে চলে আসলো। 

তারপর সেটা কন্টিনিউ করতে থাকলো সে। আরো পনেরোদিন পর সে দেখলো তার সাইট প্রথম পেইজে চলে এসেছে। এবার সে হাফ ছেড়ে বাঁচল।আপনাকে এসে আবারো বললো, গান ডাউনলোড দেওয়ার জন্য। আপনিও আবারো সার্চ করলেন গুগলে, আপনার ভাইয়ের সাইটের নাম লিখে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখলেন যে, সাইট কিছুদিন আগেও সপ্তম পেইজে ছিল এখন সেটা প্রথম পেইজে চলে এসেছে। 

আপনিও ডাউনলোড দিলেন খোঁজাখুঁজির কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এই যে একটা সাইটকে গুগল সপ্তম থেকে তৃতীয়, তারপর তৃতীয় থেকে প্রথম পেইজে নিয়ে আসার পদ্ধতি, এটাকেই মার্কেটাররা বলে থাকে অফ পেইজ এসইও। কারণ, গুগলের সপ্তম পেইজে যদি আপনার সাইটে প্রত্যেকদিনে ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা থাকে ১০০টি তাহলে তৃতীয় পেইজে সেই সম্ভাবনা বেড়ে হয়ে যায় ৫০০টি! 

আর প্রথম পেইজে সম্ভাবনা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় হাজারের কাছে। আর এটাই একটা সাইটের জন্য গিফট! যত বেশি ভিজিটর, তত বড় গিফট! ঠিক একইভাবে আমার বাসায় যারা এসেছে, তাদের আমি শুরুতেই র‍্যান্ডমলি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা শেষ রুমে যেতে দিই নি। তাদের গুণগুলো দেখেছি, তাদের বাসায় আসার সময়টাই এখানে তাদের গুণ ছিলো। 

তারপর যে শুরুতে এসেছে তাকে প্রথম রুমে দিয়ে সবচেয়ে বড় গিফট দিয়েছি আর যে শেষে তাকে ছোট গিফট দিয়েছি। যেটা গুগল করছে প্রতিনিয়ত। সুতরাং, শেষ কথায় বলি এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে একটা ওয়েবসাইটকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসা। এসইওয়ের দুটো অংশ রয়েছে। অন পেইজ এসইও, যেটা দ্বারা সার্চ ইঞ্জিনে একটা ওয়েবসাইটকে দেখানো হয় বা র‍্যাংক করানো হয় এবং অফ পেইজ এসইও, যেটা দ্বারা সার্চ ইঞ্জিনে একটা ওয়েবসাইটের র‍্যাংক উপরে নিয়ে যাওয়া হয় বা বৃদ্ধি করানো হয়। 

এখন মূল কথা হচ্ছে এসইওতে কি এমন রয়েছে, যার কারণে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর দরজায় কড়া নাড়লে তারা বিরক্ত না হয়ে আপনাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে বা দেবে? কি জাদু রয়েছে এসইওতে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে, একটা সার্চ ইঞ্জিন কীভাবে কাজ করে। সার্চ ইঞ্জিন মূলত একটি ইন্টারনেটে অবস্থিত অনুসন্ধান ইঞ্জিন। 

এটা মূলত একধরণের সফটওয়্যার যা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে এবং প্রয়োজনের সময়, যখন কেউ সেই তথ্যের ভান্ডার থেকে কিছু জানতে চায় তখন সেই তথ্য প্রদান করে। সার্চ ইঞ্জিনকে একটি মাকড়সার সাথে তুলনা করা যায়, যার জাল পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রাখা আছে, তথ্য সংগ্রহের জন্য। আপনি যখন কোন তথ্যের জন্য সার্চ করেন, তখন এর কাছে জমা করে রাখা কোটি কোটি ওয়েবসাইট থেকে বাছাই করে আপনার দরকারি তথ্যটি খুঁজে বের দেয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন

Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব
চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক, সার্চ ইঞ্জিনগুলো কীভাবে কাজ করে সেটা নিয়ে। সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনগুলো প্রথমে একটি স্পাইডার বা মাকড়সা (টেকনিক্যাল ভাষায় বলে ওয়েব ক্রলার) পাঠিয়ে দেয় ইন্টারনেট জুড়ে। সমস্ত ইন্টারনেট ঘুরে সেই মাকড়সা, যতগুলো লাইভ ওয়েবসাইট অর্থাৎ যতগুলো একটিভ ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। 
যখনই কোন ওয়েবসাইটে নতুন কোন তথ্য যুক্ত করা হয় কিংবা পুরনো কোনো তথ্য আপডেট করা হয় তখনই সেই মাকড়সা সেখানে হাজির হয়ে নতুন তথ্যগুলো তার সাথে করে নিয়ে যায়। প্রত্যেক মিনিটেই লক্ষ লক্ষ্য ওয়েবসাইট ভিজিট করে মাকড়সাগুলো ইন্টারনেটে থাকা সবধরনের তথ্য সংগ্রহ করে রাখে। তথ্য সংগ্রহ করা শেষ হলে, সার্চ ইঞ্জিনগুলো মাকড়সার থেকে ডাটাগুলোকে সাজিয়ে রাখতে চায়। আর তখনই আসে সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যকারী আরেকটি সফটওয়‍্যারের কাজ, যেটাকে বলে ইনডেক্সার। 

ইনডেক্সার মূলত মাকড়সার পেট থেকে নেওয়া সেই তথ্যগুলোকে পড়ে নিয়ে ধাপে ধাপে জমা করে রাখে। একইসাথে সেই জমাকৃত বিশাল এই তথ্য ভান্ডার থেকে অনেক তথ্য মুছে দেয় ইনডেক্সার। কোন লেখা কপি করা হয়েছে মনে হলে বা মান-সম্মত মনে না হলে অথবা বিভিন্ন কারণে তথ্য মুছে ফেলা হয় সার্চ ইঞ্জিনের তথ্য ভান্ডার থেকে। এসব কাজ করার পরে তৃতীয় ধাপে আমরা কোনো কিছু সার্চ করলে সার্চ ইঞ্জিন পরিষ্কারকৃত এবং সুন্দর করে সাজানো গোছানো তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরে। বুঝেছেন?

Seo কত প্রকার ও কি কি


সার্চ ইঞ্জিন কত প্রকার ও কী কী এবং এর টেকনিক্যাল কাজগুলো নিয়ে এখানে বলে আর লাভ নেই।
তো, পূর্বে যে প্রশ্নটা করেছিলাম, এসইওতে এমন কি রয়েছে, যেটার কারণে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের তাদের ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে? এসইওতে কি কি কাজ করা হয় (এটাকে এসইও চেকলিস্ট বলে) যার কারণে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে একটা সাইট ইনডেক্স হয়ে যায়। চলুন সেটাই জেনে নেয়া যাক, অল্প কিছু কথায়।
এসইওর ব্যাসিক চেকলিস্ট হচ্ছে: গুগল সার্চ কনসোল সেটআপ করা বিং ওয়েবমাস্টার টুলস সেটআপ করা গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করা।

এসইও টুলস এর ব্যবহার


seo শিখে কিভাবে আয় করবো বা Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা না করে অবশ্যই এসইও কি এবং এসইও (SEO) বিষয়টিতে কি কি কাজের ধাপ রয়েছে সে সম্পর্কে জানা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে উপরে এসইও তে যে সকল কাজের ধাপ রয়েছে সে সম্বন্ধে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই টুলস এর ব্যবহার জানতে হবে। আপনি আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য রাইটিং করা থেকে শুরু করে সকল বিষয়গুলো সম্পাদন করার জন্য অবশ্যই এসইও টুলস এর প্রয়োজন পড়বে। নিচে কিছু এসইও টুলস এর নাম তুলে ধরা হলো।
  • Google analytics
  • Google search console
  • Ahrefs
  • MOZ
  • Semrush

Seo করে কত টাকা আয় করা যায়

Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব
ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন সেক্টরেই আপনি কাজ করুন না কেন সেখান থেকে আসলে কত টাকা ইনকাম করা যায় এটা বলা মুশকিল। এর কারণ হলো এখানে কোন নির্ধারিত বেতনের উল্লেখ থাকে না। আপনার কাজের দক্ষতা এবং অর্ডারের উপর নির্ভর করে আপনি মাসে কত টাকা আয় করবেন। যদি আপনি মার্কেটপ্লেস কে লক্ষ্য রেখে এসইও (SEO) শেখেন সে ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আয় করার পরিমাণ একটু কম হবে। 
এজন্য টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আউট অফ মার্কেটপ্লেসে কিভাবে ক্লায়েন্ট আউট করতে হয় সে সম্বন্ধে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। আবার মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস ব্যতীত টাকা ইনকাম করার কোন কোন উপায়ে রয়েছে সেগুলো জানতে হবে। একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট প্রতিমাসে কমপক্ষে বাংলা টাকায় ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে। 

তবে যদি আপনার পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকে তাহলে একমাত্র এসইও সেক্টরে আসা প্রয়োজন। এখানে সময়, অর্থ, ধৈর্য সবকিছুই আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। এসইও এর সকল বিষয় সম্বন্ধে জানতে হলে। কমপক্ষে আপনাকে ৬ মাস হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে এবং এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
Seo করে কত টাকা আয় করা যায় - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব
এই সময়ের মধ্যে মাথা থেকে ইনকাম করার বিষয়টি ঝেড়ে ফেলতে হবে। যদি আপনি সঠিক গাইডলাইনের আওতায় একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে দেখবেন মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আশা করি আপনাদের এসইও করে কত টাকা আয় করা যায় এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ কিভাবে শিখব এই সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম মত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন