ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার গবেষণা এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছে ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার আছে কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বাজারের আকার কেমন। এছাড়া আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যে তিনটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রসঙ্গ উঠলেই এমন তিনটি প্রশ্ন চলে আসে, যাদেরকে অগ্রাহ্য করা যায় না; বিশেষ করে সেটা যদি একটা নতুন পণ্য কিংবা ধারনার হয়। এমনকি যদি বিদ্যমান কোনো পণ্যের বিক্রি কোনো কারণে আপনার কাছে সন্তোষজনক মনে না হয়, তাহলে আপনি এই তিনটি প্রশ্ন করতে পারেন। বেশিরভাগ কোম্পানি এক নম্বর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে; কিন্তু পরের প্রশ্নগুলো কখনও করেনি...এমন কতগুলো কোম্পানির সঙ্গে আমি কাজ করেছি তা শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন!
ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার আছে কি
প্রথম প্রশ্নটি হলোঃ 'ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার আছে কি?' এমন ক্রেতা কি আসলে আছে যে আপনি বাজারে যে পণ্য বা সেবাটি আনার কথা ভাবছেন তা কিনবে? মনে রাখবেন-নতুন পণ্যের সাফল্য বনাম ব্যর্থতার অনুপাত ৮০:২০। অর্থাৎ, নতুন পণ্যের ৮০ শতাংশ ব্যর্থ হবে। তারা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাজার দখল করতে পারবে না এবং কোম্পানি অর্থ হারাবে... কখনও কখনও ব্যবসাও গুটাতে হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
বিশ শতাংশ নতুন পণ্য সফল হবে মানে: বিনিয়োগের খরচ তুলে, সেগুলো মুনাফা অর্জন করবে। এই বিশটির মধ্যে একটি হবে তারকা। এক বছরে বাজারে আসা ১০০টি নতুন পণ্যের মধ্যে কেবলমাত্র একটিই বহুল বিক্রিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্মার্টফোনের জন্য নতুন অ্যাপ্লিকেশনগুলির বাজার সম্পর্কে ভাবুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার গবেষণা
২০১২ সালে, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ে নানাবিধ গবেষণায় ৮ বিলিয়ন ডলারের চাইতেও বেশী খরচ করেছে। কোম্পানিগুলোর বাজার- গবেষণার মূল কারণ হলো: নতুন পণ্য কিংবা সেবার চাহিদা আছে কি না তা বোঝা। কে কিংবা কী সেই বাজারের গ্রাহক, যথেষ্ট মুনাফা অর্জনের জন্য সেবা বা পণ্যকে কী দামে বিক্রি করতে হবে-এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
অথচ এত গবেষণার পরেও, ৮০ শতাংশ নতুন পণ্য এবং সেবা প্রথম এক কি দুই বছরের মধ্যে ব্যর্থ হয়!
বর্তমানে অবশ্য এসবের চাইতে ভালো একটি কৌশল আছে আমাদের হাতে। তাহলো: 'প্রথমে ক্রেতা খোঁজা।' যখনই নতুন পণ্য বা সেবার ধারণা লাভ করেন, তখনই একজন ক্রেতাকে ব্যক্তিগতভাবে কল করুন (জরিপ, প্রশ্নপত্র বা ফোকাস গ্রুপের চিন্তা বাদ দিন) এবং তাকে বলুন যে আপনি এই নতুন পণ্য বা সেবা ডিজিটাল মার্কেটিং বাজারে আনতে চাচ্ছেন।
সে কি কিনবে? সেটার জন্য কত টাকা দেবে? ক্রেতার চোখে আপনার প্রাথমিক ধারণায় কোনো ত্রুটি বা দুর্বলতা ধরা পড়ছে কি? শুরুতেই ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার পরীক্ষা করে, এবং আপনার ক্রেতাদের কাছ থেকে আন্তরিক মন্তব্য নিয়ে, আপনি 'বাজারে আসার' সময় কমিয়ে আনতে পারেন; সেই সঙ্গে পণ্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পেছনে খরচও কমাতে সক্ষম হবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং বাজারের আকার কেমন
দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে তাহলো: 'আপনার পণ্য বা সেবার ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার যথেষ্ট বড় কি না?' এটি এমন একটি প্রশ্ন যেটা- আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি-অধিকাংশই করে না, জবাব নিয়েও ভাবে না। তবুও আপনাকে জানতে হবে: পণ্য বা সেবাটি কি অর্থনৈতিকভাবে সফল হবার মতো পরিমাণে বিকোবে?
প্রাথমিক বিশ্লেষণর পর আপনি ঠিক করবেন: আপনার পণ্য বা সেবা তৈরিতে ঠিক কত খরচ হবে এবং পণ্য বা সেবাকে লাভজনক করার জন্য ঠিক কত মূল্যে বিক্রি করতে হবে সেটাকে... বিশেষ করে অন্য যে যে উপায়ে আপনি সেই টাকা খরচ করতে পারবেন, সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট
তারপর আপনি ঠিক করে নিন যে কী পরিমাণ পণ্য আপনি এক সপ্তাহ, এক মাস এবং এক বছরে বিক্রি করলে সময় ও পরিশ্রমের উপযুক্ত বিনিময় পাবেন। সবশেষে আপনি সিদ্ধান্ত নিন: আপনার নিজের স্থির করা সময়ের মাঝে ওই পরিমাণ পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মতো সম্ভাব্য গ্রাহক আছে কি না।
ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার কি ঘনীভূত
তৃতীয় প্রশ্নটি হলোঃ 'ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার কি ঘনীভূত?' আপনি বিভিন্ন জায়গায় এমন কিছু মানুষ খুঁজে পেলেন যারা আপনার পণ্য বা সেবা কিনবে বলে জানায়। কিন্তু এথেকে নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না যে আপনার পণ্যেরডিজিটাল মার্কেটিং বাজার ঘনীভূত এবং • বিদ্যমান বিজ্ঞাপন-পদ্ধতি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল আপনার চেনা আছে তা ব্যবহার করে বাজারের অংশীদারিত্ব আপনি অর্জন করতে পারবেন।
হয়তো আবিষ্কার করবেনঃ একটি নতুন পণ্য বা সেবার ১,০০,০০০ ইউনিট বিক্রি হবার মতো ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার আছে; কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং বাজারটি ঘনীভূত নয়, বরঞ্চ ছড়িয়ে আছে উত্তর আমেরিকার ১০,০০০টি নগরী, শহর এবং গ্রামে। আপনি কীভাবে সাশ্রয়ী উপায়ে সেই বাজারে পৌঁছাবেন? মনে রাখবেন, আপনি গ্রাহক কেনার ব্যবসায় আছেন।
যদি আপনার কাছে এমন একটি পণ্য থাকে যা মানুষ কিনবে, তাহলে আপনার অধিগ্রহণের খরচই হবে আপনার সাফল্য বা ব্যর্থতার নির্ণায়ক। বড় একটা ডিজিটাল মার্কেটিং বাজার আছে, এমন কোনো পণ্য বা সেবা আপনার জন্য লাভজনক না-ও হতে পারে...কেবলমাত্র এই কারণে যে আপনি বিদ্যমান বিজ্ঞাপন-পদ্ধতি এবং মার্কেটিং চ্যানেলের ওপর ভর দিয়ে সেই বাজারে পৌছুতে ব্যর্থ হবেন। সুখের কথা হলো, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছোটো বাজারগুলোতে, এবং তাও আগের চাইতে কম খরচে, পৌঁছানো সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি
লোকে বলে-ইন্টারনেট হলো সবচেয়ে ভালো এবং খারাপ বিপণন পদ্ধতি। সবচেয়ে খারাপ কারণ-আপনি যাদের কাছে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই আপনার পণ্যের ব্যাপারে অনাগ্রহী এবং সম্ভবত পাওয়া মাত্র আপনার মেসেজটি মুছে ফেলবে! আবার সর্বোত্তম কারণ আপনি খুব কম খরচে হাজার হাজার...এবং এমনকি লক্ষ লক্ষ সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, যার ফলে হয়তো 'খড়ের গাদায় সুই'টিও খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন!
আরো পড়ুনঃ মার্কেটিং করার কৌশল
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুধু অনলাইনের মাধ্যমেই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যাবে? শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা সম্ভব। অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে চাইলে আপনাকে ভালো কোনো পেইড ভিডিও ক্রয় করতে হবে। তারপরে সেই ভিডিও দেখে দেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
পেইড ভিডিও দেখার পাশাপাশি আপনাকে ইউটিউব থেকে ফ্রি ভিডিওগুলো দেখতে হবে এবং বিভিন্ন ভালো ভালো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্লগ সম্পর্কে জানতে হবে ও তাদের আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। আর অবশ্যই প্র্যাকটিসের তুলনা নেই। তাই মন খুলে প্র্যাকটিস করতে হবে। যখন যেটা শিখছেন, দেখছেন সেটাই প্র্যাকটিস করুন। জানুন সেটা সম্পর্কে। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। ঝালাই করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে মূলত কোন কোন বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে? বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মেথড ও মাধ্যম কয়টি? ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের শয়ের উপর টেকনিক আর মেথড রয়েছে। আর এটা দিনে দিনে বাড়ছে বৈ কমছে না। তাই শেখার শেষ নেই। মিনিমাম লেভেল যেতে হলে আপনাকে কমপক্ষে ৪/৫ টা মেথড সম্পর্কে জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি
তবে এখানে আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সেরা কিছু টপিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বোঝানোর চেষ্টা করব। সংক্ষিপ্ত কেন? কারণ এটা হাতেখড়ি। ভুলে গেছেন? আরেকটা কথা, নিচে যে পয়েন্টগুলো আমি বলবো সেগুলোকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ হিসেবেও ধরতে পারেন। আপনি চাইলে যেকোনো একটা বিষয়ের উপরেই দক্ষ হয়ে আয় করতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একজন এক্সপার্ট বা স্পেশালিস্ট হতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এই বিষয়গুলোতে আপনাকে দক্ষ তো হতেই হবে, তার উপর আপনাকে আরো বেশি রিসার্চ করে মেথড আর চ্যানেল খুঁজে বের করতে হবে।
আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি এর সম্পর্কে আপনাদের জানাতে পেয়ে আমার খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট টি নিয়ম মত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।