কমিউনিকেশন সিস্টেম এন্ড নেটওয়ার্কিং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
কমিউনিকেশন সিস্টেম এন্ড নেটওয়ার্কিং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
01. পিকোনেট কী?
উত্তরঃ পিকোনেট হলো ব্লুটুথ নেটওয়ার্কের গাঠনিক ও কার্যকরী একক।
02. ডি-মডুলেশন কী?
উত্তরঃ অ্যানালগ সিগনাল ও ডেটাকে মডেমের সাহায্যে ডিজিটাল সিগনাল ও ডেটায় রূপান্তরকে ডি-মডুলেশন বলে।
03. WiMAX কী?
উত্তরঃ Wi-Max একটি জনপ্রিয় HOTSPOT প্রযুক্তি, যা IEEE 802.16 নামেও পরিচিত। Wi-Max হলো Worldwide Interoperability for Microwave Access এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল সার্ভিস। একে WMAN ও বলা যায়। DSL (Digital Subscriber Line) প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।
04. ডেটা চলাচলের মাধ্যম কী?
উত্তরঃ উৎস হতে গন্তব্যে ডেটাকে পৌঁছে দিতে যে মাধ্যম কাজ করে, তাকেই Data Transmission Media বা ডেটা চলাচলের মাধ্যম বলে।
05. NIC কী?
উত্তরঃ কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা নিক (NIC) কার্ড বলা হয়।
06. হাফ ডুপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ উভয় প্রান্ত হতেই ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ উভয়টিই সম্ভব, তবে যুগপৎ নয়-এরূপ Data Transmission Mode Half- duplex Mode বলে।
07. রাউটার কী?
উত্তরঃ রাউটার একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা আইপি অ্যাড্রেসের উপর ভিত্তি করে ডেটার আদান-প্রদান করে। একই প্রোটোকলভুক্ত এক বা একাধিক নেটওয়ার্ক বা সাবনেটওয়ার্ক রাউটারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে এর সম্প্রসারণ ঘটান সম্ভব।
08. ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে ডেটা বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে।
09. ব্যান্ডউইথ কী?
উত্তরঃ এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে এ প্রতি একক সময়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বলে।
10. ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স যেমন-নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার প্রোগ্রাম, সেবা প্রভৃতি চাহিদামত এবং প্রয়োজনমাফিক দাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ বা ভাড়ার বিনিময়ে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবহার করার সুবিধা বা ব্যবস্থাকেই ক্লাউড কম্পিউটিং বলা হয়।
11. ফুল ডুপ্লেক্স কী?
উত্তরঃ যে Data Transmission মোডে উভয়দিকে যুগপৎ ডেটার প্রবাহ সম্ভব, অর্থাৎ উভয় পক্ষ একই সময়ে তথ্য আদান-প্রদ গ্রহণ উভয়ই করতে পারে, তাকে Full Duplex Mode বলে। -প্রদান ও
12. ব্লুটুথ কী?
উত্তরঃ ব্লুটুথ হচ্ছে তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) প্রোটোকল যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে স্বল্প দূর দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদান করে।
13. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
উত্তরঃ ডেটা কমিউনেকেশন ব্যবস্থায় উৎস হতে গন্তব্যে ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাহের দিক হল ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।
14. রোমিং কী?
উত্তরঃ যখন কোনো মোবাইল ফোন তার নিজস্ব হোম নেটওয়ার্ক থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলে অন্য নেটওয়ার্কের সেবা গ্রহণ করে, তখন তাকে রোমিং বলে।
15. ইনফ্রারেড কী?
উত্তরঃ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের 300 গিগাহর্জ (GHz) থেকে 430 টেরাহার্জ (THz) পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ইনফ্রারেড ওয়েভ নামে পরিচিত।
16. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক কী?
উত্তরঃ যে নেটওয়ার্কে সকল কম্পিউটারই একই সাথে একই প্রোটোকল অনুসরণে সার্ভার বা ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ করে তাকে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বলে।
17. মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ মাল্টিকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্ত সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে।
18. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী?
উত্তরঃ পরস্পর ডেটা আদান-প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কম্পিউটার কোনো যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা একসঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে বলে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
19. ডেটা কমিউনিকেশন কী?
উত্তরঃ প্রেরক হতে গ্রাহক পর্যন্ত ডিজিটাল মাধ্যমে ডেটার সঞ্চালনকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।
20. রাউটার কী?
উত্তরঃ রাউটার একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের অন্তর্গত উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট পৌঁছে দেয়।
21. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ যে Data Transmission পদ্ধিতিতে Data-কে Primary storage Device- এ সংরক্ষণ করা হয় এবং সমান বিরতিতে প্রতিবারে 80-132 Character-এর একটি Block transmit করা হয় তা সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি।
22. টপোলজি কী?
উত্তরঃ একটি নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট যেমন: ক্যাবল, পিসি, রাউটার ইত্যাদি যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় টপোলজি।
23. মডেম কী?
উত্তরঃ Modulator + Demodulator = Modem হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইজ, যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে পৌঁছে দেয়।
CQ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
01. 'ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন।'-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ উক্তিটি ক্লাউড কম্পিউটিংকে ইঙ্গিত করছে। বর্তমান সময়ে এসে ক্লাউডের ব্যবহারের জন্য কোনো বাঁধা-ধরা সময়সীমা (Limitation) নেই। একজন ব্যবহারকারী তার সাবস্ক্রিপশন থাকাকালীন যেকোনো সময় ক্লাউডে অ্যাক্সেস করতে পারেন। ক্লাউড ব্যবহার ইউজারকে লোকেশন ও ডিভাইস লিমিটেশন থেকে মুক্তি দিয়েছে। ব্যবহারকারী যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ডিভাইসে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে লগ ইন করার মাধ্যমে ক্লাউডে অ্যাক্সেস নিতে পারেন, কম্পিউটেশন করতে পারে, তথ্য আপডেট, আপলোড ও ডাউনলোড করতে পারেন।
02. মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ধরন ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নেটওয়ার্কের শ্রেণিবিভাগ হতে পারে অন্তর্গত উপাদানসমূহের ভৌগোলিক বিস্তৃতি অনুসারে, হতে পারে নিয়ন্ত্রণ ও সেবাপ্রদানের ধরণভেদে, আবার হতে পারে মালিকানা ভিত্তিক। মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্ককে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(i) প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Private Network): প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এমন নেটওয়ার্ক যা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন থাকে। এটি একটি নিয়ন্ত্রিত অর্থাৎ Controlled নেটওয়ার্ক। এতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্দিষ্ট, যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে না। প্রাইভেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে অনুমতি প্রয়োজন হয়। এর সিকিউরিটি সিস্টেম অত্যন্ত মজবুত। প্রাইভেট নেটওয়ার্কে সাধারণত ট্রাফিক থাকে না। ফলে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ডিলে (Delay) কম হয় ও ট্রান্সমিশন গতি বেশি থাকে। PAN, LAN ও CAN প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মধ্যে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ: BUET, AIUB ইত্যাদির নিজস্ব নেটওয়ার্ক।
(ii) পাবলিক নেটওয়ার্ক (Public Network): প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এমন নেটওয়ার্ক যা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মালিকানাধীন থাকে না। তবে, এটি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ জন্য ব্যবহারকারীকে সাধারণত কিছু ফিস বা মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। ফলে পাবলিক নেটওয়ার্কে ট্রাফিক বেশি থাকে এবং ডেটা ট্রান্সফার গতি তুলনামূলকভাবে কম হয়। WAN বা Internet পাবলিক নেটওয়ার্কের উদাহরণ। তাছাড়া মোবাইল ফোন কিংবা টেলিফোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম, CompuServ, American Online (AOL), Prodigy ইত্যাদিও পাবলিক নেটওয়ার্ক।
03. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেননা এই ট্রান্সমিশনে প্রেরক হতে ডেটা গ্রাহকের কাছে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং ট্রান্সমিশনের মধ্যে সময় বিরতি সমান নয়।অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ২টি ক্যারেক্টার পাঠানোর মধ্যবর্তী সময় অনির্ধারিত। ক্যারেক্টারের শুরুতে ও শেষে যথাক্রমে start ও stop বিট প্রয়োজন। ধীর গতি ও অল্প ডেটা ট্রান্সমিশন। ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার প্রেরিত হয়। স্বল্প দূরত্বে এই পদ্ধতি অধিক কার্যকর।
04. "ডেটা উভয় দিকে প্রেরণ সম্ভব, কিন্তু একই সময়ে নয়"- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ উক্তিটি দ্বারা মূলত হাফ-ডুপ্লেক্স মোডকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। দুই ডেটা উপযোগকারীর (যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে কমিউনিকেশন হচ্ছে) মধ্যে একই মাধ্যম ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। ডেটা উভয়দিকেই প্রেরণ করা যায়। কিন্তু মাধ্যম একই হওয়ায় ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ একইসাথে করা যায় না। যেমনটা ওয়াকি-টকিতে (Walkie Talkie) হয়।
হাফ ডুপ্লেক্সের আরেকটি উদাহরণ হলো ওয়েব ব্রাউজার। আমরা যখন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যাই, তখন মূলত ঐ ওয়েবসার্ভারকে রিকোয়েস্ট পাঠাই (এক্ষেত্রে আমরা প্রেরক)। ওয়েবসার্ভার আমাদের রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে (এক্ষেত্রে সার্ভার গ্রাহক)। অতঃপর সার্ভার সে অনুযায়ী ডেটা পাঠায় (প্রেরক) এবং আমরা ওয়েবসাইটে তা দেখতে পারি (প্রাপক)। এছাড়া, ফ্যাক্স, এসএমএস ইত্যাদিও হাফ-ডুপ্লেক্স এর মতো কাজ করে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url