কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা - কোন কোন মাছে কোলেস্টেরল আছে

 আজ আমরা আলোচনা করব কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা বিষয়ে এবং কোলেস্ট্রল বেড়ে গেলে করণীয়। কোলেস্টেরল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়ুন।

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি কোলেস্টেরল কেন হয় এবং কোলেস্টেরল লক্ষণ এ সম্পর্কে। এছাড়া আরো আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা


কোলেস্টেরল হলো একটি প্রধান আমিনো অ্যাসিড, যা মানুষের সঞ্চিত এনের্জির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত কোষস্থ মেম্ব্রেনের গঠনে, হরমোন উৎপাদনে, ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক পদার্থ এমনকি বায়োলজিক্যাল অধিক্রিত এনজাইমের জন্য প্রয়োজন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ করা যেতে পারে মোটর কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং সম্প্রতি হৃদরোগ ও অন্যান্য সমস্যাগুলির ঝুঁকি কমাতে। এটি মূলত পোষণশীল খাবার, ব্যায়াম, ও নির্দিষ্ট ওষুধ যেমন স্ট্যাটিন সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা সম্পন্ন করা হতে পারে।

কোলেস্টেরল কেন হয়


কোলেস্টেরল মৌলিকভাবে হেপাটিক (লিভারের) উৎপাদন হয়, যা প্রধানত দুই ধরণের হয় - ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)। ভাল কোলেস্টেরল মানে হাই ডেন্সিটি লিপোপ্রোটিন (HDL) সাহায্য করে কোলেস্টেরল দ্রবীভূত পথে নেওয়ার সময় কোলেস্টেরল জন্য পরিচিত নেতিবাচক কাজ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকিতে ন্যূনতম করে তুলে। 

এর বিপরীতে, খারাপ কোলেস্টেরল অথবা লো ডেন্সিটি লিপোপ্রোটিন (LDL) যে সমস্ত শক্তির পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিতে বৃদ্ধি করে।কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রার হয়ে থাকা কোমল এবং হার্ড কোলেস্টেরল উভয়েই হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এবং অন্যান্য মেডিক্যাল সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন ধমনী রোগ এবং চিত্তস্থলে চিপা এবং প্রতিনিধিত্ব করার বা রাসায়নিক সম্পর্কিত সমস্যার মধ্যে কিছু।

কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা সাধারণত খাদ্য এবং জীবনযাপনের মধ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন ও প্রকারের খাবারের সাথে যোগাযোগের ফলে তৈরি হয়। এছাড়াও, পুষ্টি অবনতি, কম গতির জীবনযাপন, ধূমপান এবং অতিরিক্ত মানুষের মধ্যে স্ত্রীলোকের জন্য সন্তানের আগের জন্য চিকিৎসা কারণেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে।

সারসংক্ষেপে, খাদ্যের মাধ্যমে সেরোটোনিন এবং অন্যান্য কিছু পুষ্টিযুক্ত উপাদানের প্রবাহ নির্বাহে সাহায্য করতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং ধূমপান মুক্ত জীবনযাপনের অনুসরণও কোলেস্টেরল মাত্রা নির্বাহে সাহায্য করে। অন্যদিকে, HDL কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও অন্যান্য সমস্যাগুলি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং কোলেস্টেরল কোষ থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল লক্ষণ


অধিক কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনও নিশ্চিত লক্ষণ দেখা যায় না, কারণ এটি ধরা পড়ে যেতে সাধারণত অজানা থাকে। তবে, উচ্চ কোলেস্টেরল সম্পন্ন ব্যক্তিরা হৃদরোগ এবং অন্যান্য মহান সমস্যার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। অন্যান্য হৃদয়ের সমস্যার সাথে তুলনা করে কোলেস্টেরলের লক্ষণ অত্যন্ত নিম্নমূল্যের হতে পারে এবং অধিকাংশ মানুষ লক্ষণ অনুভব না করে। 

তবে এটি দেখা যেতে পারে যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে যায় এবং হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকে কোলেস্টেরলের লাভ অনেক সময় ধারণ করে না, কারণ এর কোনও স্পষ্ট লক্ষণ থাকে না। তবে, নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি কোলেস্টেরল সমস্যা উপস্থাপন করতে সহায়ক হতে পারেঃ
  • পিছনে অত্যধিক প্রজ্ঞাঃ যেহেতু কোলেস্টেরল নির্ধারণ করা যায় না, এই লক্ষণ সাধারণত অন্য কারণে অবস্থান করতে পারে। কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে, অনেক সময় লাইফস্টাইল এর পরিবর্তনের বা স্তবায়ন হয়ে যায় যেমন ওজন বাড়তে হতে পারে অথবা ত্রিগ্লিসেরাইড এর মাত্রা বাড়তে পারে।
  • হার্ট বা স্বাস্থ্যসম্মত সমস্যাঃ যেমন ব্যক্তির ব্লাড প্রেশার এবং হার্টের সমস্যা থাকতে পারে যেখানে ব্লাড প্রেশার বা কল্পনা পূর্বক ব্লাড প্রেশার এবং অধিক কোলেস্টেরলের উচ্চ সম্পর্ক রয়েছে। কোলেস্টেরল সমস্যা হলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে যেমন অব্যাহত পেটের চেষ্টা, পিঠের ব্যথা, হালকা দৌড় এবং লক্ষণটি হৃদয়ব্যথার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
  • শারীরিক অসুস্থতাঃ একজন ব্যক্তির শারীরিক অসুস্থতা বা দৌড়ানোর ক্ষমতা কমে আসতে পারে। শ্বাস কষ্ট, অস্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক থল পুচক অনুভূতি, ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
  • হার্ট রোগের লক্ষণঃ উচ্চ কোলেস্টেরল সমস্যা হলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। একজন ব্যক্তির হৃদয়ের কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে, যেমন স্থানীয় ব্যাথা, স্বাস্থ্যসম্মত অতিরিক্ত থলবিশেষ, পেটে জড়িত অনুভূতি, শ্বাস কষ্ট, অস্বাভাবিক হার্টবিট, পুরাণো থাকা বা সুতা দ্বারা প্রমাণিত অনুভূতি।
  • উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ কোলেস্টেরল সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ উত্পন্ন করতে পারে, যা শারীরিক অসুস্থতা, চিংড়িতে দুঃখিত অনুভূতি, অস্বাভাবিক পানির সম্মিশ্রণ, মাথা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মেটাবলিক সিন্ড্রোম, জ্বর, পিছনে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, ওজন কমে যাওয়া, অন্যান্য অসুস্থতা ইত্যাদি।
  • অন্যান্য সমস্যাঃ অন্যান্য সমস্যাগুলির মধ্যে মধুমেহ, অনিদ্রা, ক্ষতিকর স্নায়ুবিশেষ, অক্সিজেনের দ্বারা সরবরাহের সমস্যা এবং ক্ষতিকর হার্মোন সম্পর্কিত সমস্যা সম্প্রসারিত হতে পারে।
কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো নিশ্চিত লক্ষণ দেখা যায় না, কারণ এটি সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে অনেকটা অজানা অবস্থা বজায় রাখে। সাধারণত উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ স্বাভাবিক অবস্থায় অবস্থান করে না, তবে এর উচ্চ মাত্রা লক্ষণ বাড়াতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে করণীয়


কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কিছু করণীয় হতে পারে যা নিম্নলিখিত সাধারণ পরামর্শ মেনে নিতে পারেন:
  • স্বাস্থ্যপরিক খাবার পরিবর্তনঃ আপনার খাবারে পরিমাণিত কোলেস্টেরল সম্পন্ন খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত। আপনার খাবারে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন এনে যেতে পারে। কোলেস্টেরল সম্পন্ন খাবারের মাত্রা কমিয়ে নিন। উচ্চ ফ্যাট, উচ্চ কোলেস্টেরল খাবার যেমন বিলাতী খাবার, বাটার, চিকেন স্কিন, বাংলাদেশি লোনে চিংড়ি, লাল মাংস, ডেয়িরি পণ্য ইত্যাদি থেকে দূর থাকুন।সেজন্য আপনার জীবন্ত ফল, সবজি, পোষক অণুসহ প্রোটিন ধাতুর খাবার ধরনের আওতাভুক্ত করা উচিত। লো ফ্যাট, লো কোলেস্টেরল খাবারগুলি খাওয়া। অন্যান্য প্রকারের তেল, দুধ পণ্য, চিংড়ি, মাংস, কুকিং অয়েল এবং বাটার এমনকি ডিমের সাদা অংশ থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টেরল সম্পন্ন খাবার খাবেন না। সাবজি, ফল, প্রোটিন ধাতু, ধনিয়া, অলিভ ওয়াইল, মুড়ির তেল, মুরুমুরু ঘি, মসুর ডাল, গুড়া, ফুলকোস ইত্যাদি খাবারের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত, যেখানে দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট কার্ডিও ব্যায়াম সহ মানুষের প্রচুর গতির ব্যয় করা হয়। এটি আপনার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্বাহে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করা উচিত, যেমন হাঁটা, ব্যাসিক ব্যায়াম, যেমন জগিং, সাইকেলিং, সাঁতারের চলার ব্যায়াম, যোগাসন ইত্যাদি। নিয়মিত ব্যায়াম করা কোলেস্টেরল মাত্রা নির্বাহে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের জন্য ব্যায়াম সম্পাদন করুন।
  • ওজন পরিচালনাঃ আপনি যদি ওজনে বেশি থাকেন, তবে ওজন কমাতে পারেন। ওজন কমানো প্রাথমিকভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার ওজন সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। যদি আপনি ওজনে বেশি থাকেন, তবে ওজন কমানো উচিত। ওজন কমানো কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ঔষধ ব্যবহারঃ আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেস্ক্রাইব করা ঔষধ সঠিকভাবে সেবন করা উচিত। এই ঔষধগুলি কোলেস্টেরল মাত্রা নির্বাহে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন। নিয়মিত চেকআপ করে নিজেকে পরিষ্কার রাখুন এবং কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • নিয়মিত চেকআপঃ আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ করে থাকা উচিত। কোলেস্টেরল মাত্রা পরীক্ষা করা এবং যেকোনো প্রয়োজনে চিকিৎসার সাথে সম্পর্কে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ধূমপান ছাড়াঃ ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ করুন। ধূমপান করা কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়িয়ে তা জড়িত করে তেমনি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তা অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগে সমস্যা হতে মনে করেন, তাহলে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে তা নির্ধারণ এবং চিকিৎসা শুরু করুন।

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা


কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি নিম্নলিখিত খাবারের সমৃদ্ধ হিসাবে খাবার সমৃদ্ধ করতে পারেন কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকাঃ
  • প্রোটিন ধাতুঃ মাংস, মাছ, ডিম, কাঁচা মাছ, সোয়াবিন, চিকেন ব্রেস্ট, টোফু ইত্যাদি উচ্চ প্রোটিন খাদ্য পণ্য খাওয়া উত্তম হতে পারে।
  • প্রোটিন সুতাঃ ডাল, পোলার সহ সব ধরনের ডালের খাবারে এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ মসুর ডালে অন্যান্য ডাল সহ ধানের প্রকারের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
  • ফল ও সবজিঃ পালং, স্পিনাচ, কলার্ড গ্রিন, মূলা, গাজর, ব্রোকলি, সফলা, লাল মিষ্টি আলু, কলা, পেয়ারা, আম, পেঁপে, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ওভাকাডো ইত্যাদি খাবারের ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • নিম্ন কর্বোহাইড্রেট খাদ্যঃ নিম্ন কার্বোহাইড্রেট খাদ্য যেমন ধান, ছোলা, পেঁয়াজ, কালা ডাল ইত্যাদি সহ অন্যান্য সবজি আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • পুষ্টিকর অনানাস, পেয়ারা, আম, পেঁপে সহ ফলঃ এই ফলের সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে কাজ করে যা আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • দ্রবয়সম্মিশ্রণঃ প্রাথমিক চর্বি এবং বিভিন্ন প্রকারের দ্রবয়সম্মিশ্রণ, যেমন অলিভ ওয়াইল, কোকোনাট তেল, মুড়ির তেল এবং অলুমিনিয়াম হিসেবে আসা ফলের তেল।
  • মাংসের পানি যোগ করা খাবারঃ এই উপায়ে মুখের বাড়ে গেলে কোলেস্টেরল মাত্রা কমে যায়।
  • অলিভ ওয়াইল এবং সন্তরান্তরযুক্ত তেলঃ অলিভ ওয়াইল এবং সন্তরান্তরযুক্ত তেল ব্যবহার করা যেতে পারে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং অধিক প্রোটিন সামগ্রী ব্যবহার করা হতে পারে।
  • প্রোবাইটিক এবং প্রেবাইটিক খাবারঃ প্রোবাইটিক ও প্রেবাইটিক খাবার যেমন প্রোবাইটিক অনানাস, ব্যানানা, অনানাস, প্রেবাইটিক পাট যথাক্রমে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • নির্মিত তেলঃ অলিভ ওয়াইল, কোকোনাট তেল, অলুমিনিয়াম হিসেবে আসা ফলের তেল ইত্যাদি যেসব নির্মিত তেল আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। অলিভ ওয়াইল, মুড়ির তেল, মুরুমুরু ঘি প্রকৃতি থেকে আসা মসলা সমৃদ্ধ তেল প্রকৃতি থেকে আসা তেল বিভিন্ন খাদ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • নির্মিত ডেয়ারি পণ্যঃ লো-ফ্যাট দুধ, লো-ফ্যাট দই, লো-ফ্যাট চিজ ইত্যাদি যেসব নির্মিত ডেয়ারি পণ্য আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • স্নিগ্ধ মাংসঃ স্নিগ্ধ মাংসের মধ্যে লয়েতা থাকা এবং চর্বি না থাকা অথবা স্নিগ্ধ ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ স্বাভাবিক হওয়া উচিত। উদাহরণ স্নিগ্ধ মাংস হলো মুরগির ব্রেস্ট, মাছ যেমন সালমন এবং টুনা।
এই খাবারগুলি আপনার সাহায্য করতে পারে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাস্থ্যগত স্থিতি উন্নত করতে। তবে, অবশ্যই আপনার চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হোন যে এই খাদ্যগুলি আপনার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হবেন।

কোন কোন মাছে কোলেস্টেরল আছে


সাধারণত, মাছে কোলেস্টেরল থাকতে পারে, তবে সব মাছে একই পরিমাণে না থাকে। কিছু মাছ অধিক কোলেস্টেরল ধারণ করে। মাছে কোলেস্টেরলের পরিমাণ মাছের প্রকৃতি, আবার তার খাদ্যশস্য এবং পরিবেশ নির্ভর করে। কিছু মাছে অন্যের তুলনায় বেশি কোলেস্টেরল থাকতে পারে। একটি মাছের প্রায় মাসে ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলের বেশি থাকলে সেটি উচ্চ কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা নির্দেশ করা হয়। যেমনঃ
  • শ্রীম্প (চিংড়ি)
  • কাঠলা (মাছ)
  • সালমন
  • মাগুর মাছ
  • হিল্সা (ইলিশ)
  • টুনা
  • সার্ডিন (পুটি)
  • ম্যাকারেল
  • হারিং (নিলা মাছ)
  • মুলেট (বাঙ্গুরা)
  • কাপা মাছ
এই মাছগুলি অনেকেই উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল ধারণ করে। তবে, মাছের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাস্তবায়নের জন্য খাদ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজন নয়। কারণ, মাছ একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়। আপনার পূর্বের চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হোন যে আপনি কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠিত উপকারিতা পেতে পারেন।

দ্রুত কোলেস্টেরল কমানোর উপায়


কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা ও দ্রুত কোলেস্টেরল কমানোর জন্য নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ মেনে চলা যেতে পারেঃ
  • পুষ্টিকর খাবার পরিবর্তন করুনঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রতি দিন প্রায় একটি সময়ের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট খাবার সংখ্যা মেনে চলা উচিত। অধিক ফল, সবজি, পরিমাণগত খাবার, প্রোটিন ধারণকারী খাবার এবং পুষ্টিকর অমেগা-3 চর্বির খাবার খাওয়া উচিত। কম তেল, চিনি, মিঠা, প্রসের্ভেটিভ ও প্যাকেজড খাবার সর্বাধিক মেয়াদী হিসেবে অধিক খাবার থেকে দূরে থাকুন।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত হাঁটা, পানি সাঁতারে কাজ করা, যোগাযোগ বা মেডিটেশন ইত্যাদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত পরীক্ষাঃ নিয়মিতভাবে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করতে হবে। এটি আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং যেকোনো প্রয়োজনে প্রাক্তন পদক্ষেপ গ্রহণে সাহায্য করবে।
  • পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করাঃ প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি পরিমাণে পান করা সাহায্য করে শরীরের কোলেস্টেরল তথা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ অবশিষ্ট তথা বিসর্জন করার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে।
  • কোলেস্টেরল সহায়ক খাবার সেবন করুনঃ কিছু খাবার যেমন অলিভ ওয়াইল, কোকোনাট ওয়াইল, অটোম, গারলিক, অনারস, নারকেল পানীর মাদ্যমে কোলেস্টেরল কমানোর সাহায্য করতে পারে।
  • মেডিকেশন ও চিকিৎসাঃ প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে ঔষধ বা চিকিৎসা নিতে পারেন। চিকিৎসক আপনার সঠিক প্রেসক্রিপশন করবেন।
এই পরামর্শগুলি মেনে চললে আপনি দ্রুত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে, সঠিক পরামর্শের জন্য আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে করণীয়


যদি আপনি মনে করেন যে আপনার কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা কোলেস্টেরল স্তর বেশি হয়ে গেছে, তবে নিম্নলিখিত কয়েকটি করণীয় মেনে চলা উচিতঃ
  • ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুনঃ প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং প্রতি বোধগম্য স্থিতি নিয়ে আলাপ করুন। আপনার ডাক্তার আপনার পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবেন।
  • পরীক্ষা করানোঃ নিয়মিতভাবে ডাক্তারের সাথে পরীক্ষা করতে যেতে হবে, যেখানে আপনি আপনার কোলেস্টেরল স্তর সনাক্ত করতে পারবেন। এটি আপনার চিকিৎসকের জন্য আপনার অবস্থানের নিয়ন্ত্রণের সাথে পরিপরিত হয়।
  • আপনার খাবার ও জীবনযাপন সম্পর্কে সাবধানঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, প্রায় দৈনিক ব্যায়াম করা, ধূমপান এবং অতিরিক্ত পণ্য খাওয়া মীমাংসিত থাকার সাথে সম্পর্কিত সঠিক স্বস্তির নীতি অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ডাক্তারের নির্দেশনা অনুসারে চিকিৎসা শুরু করুনঃ ডাক্তারের সাথে আপনার চিকিৎসা পরামর্শ অনুসারে যে কোনও চিকিৎসা শুরু করা হতে পারে, যেমন ঔষধ নিয়ে কাজ করা বা পরীক্ষা অনুসরণ করা।
উপরের করণীয়গুলি মেনে চললে আপনি কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে উপযুক্তভাবে সাহায্য পেতে পারেন। তবে, আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

অবশেষে বলা যায়


উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগ বাড়তে হলে ভালো কোলেস্টেরল কে বাড়িয়ে খারাপ পোস্টের রোগকে কমানোর জন্য উপরোক্ত খাদ্য তালিকা অন্তর্ভুক্ত খাদ্যগুলো সঠিক নিয়মে খেলে আমরা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারব নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। 

আশা করি আপনাদের কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা বিষয়গুলো জানতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সুবিধার্থে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url